মাঠের খেলা শেষ তখন, তবে বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতা। তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ শেষে হাত মেলাচ্ছিলেন রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের ক্রিকেটাররা। তখনই টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেল, চরম রেগে গেছেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। স্পষ্ট বোঝা না গেলেও কারো দিকে তেড়ে যাচ্ছিলেন তামিম। পরে রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানসহ উপস্থিত কয়েকজন তাকে সরিয়ে নেন।

তামিম কেন রেগে গিয়েছিলেন সেটা তৎক্ষণাৎ জানা যায়নি। টেলিভিশনের পর্দায়ও বোঝা যায়নি কিছু। সংবাদ সম্মেলনেও মেলেনি উত্তর। মূলত, এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি কেউ। তবে জানা গেছে, তামিম তেড়ে গিয়েছিলেন রংপুরের ওপেনার অ্যালেক্স হেলসের দিকে।

কী এমন হয়েছিল যে হেলসের দিকে তেড়ে যান তামিম? জানা গেছে, করমর্দনের সময় হেলসের মুখভঙ্গি ভালো লাগেনি তামিমের। বিষয়টি তার কাছে অপমানজনক মনে হয়েছে। এসময় হেলসের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় তামিমের। হেলসকে নাকি তামিম বলেছেন, ‘এরকম করছ কেন? কিছু বলার থাকলে মুখে বলো। বি আ ম্যান।’

ম্যাচের পর তামিমের বড় ভাই ও বরিশালের ব্যাটিং কোচ নাফিস ইকবাল বলেন, ‘আমিও নিশ্চিত নই (তামিম কেন রেগে গিয়েছিল), যেহেতু এটা নিয়ে আলাপ হয়নি। উত্তেজিত হয়েছে, এটা দেখেছি। সাধারণত কী হয়, ম্যাচ হারার পর, বিশেষ করে এই ধরনের ম্যাচে, অনেক ইমোশন কাজ করে। আশা করি, সিরিয়াস কোনো কিছু না। নিশ্চয়ই (অপর পক্ষ থেকে) কিছু একটা বলা হয়েছিল, সেটিরই প্রতিক্রিয়া ছিল এটা। তবে আমার মনে হয়, তেমন সিরিয়াস কিছু নয়।’

ম্যাচ শেষের ঘটনার মতো রংপুর-বরিশালের ম্যাচেও ছিল চরম উত্তেজনা। ১৯৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নামা রংপুর এক পর্যায়ে ব্যাকফুটেই ছিল। এমনকি শেষ ওভারেও দরকার ছিল ২৬ রান। কাইল মেয়ার্সের করা ওই ওভারে সমান ৩টি চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে রংপুরকে জয় এনে দেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। এই নিয়ে টানা ৬টি ম্যাচ জিতল রংপুর।