সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলর বাগারখাল বিল শুকিয়ে চৌচির।পানির অভাবে শতশত একর ফসলি জমি অনাবাদের শঙ্কা। ফলে উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নের ৪/৫টি গ্রামের শতাধিক কৃষি নির্ভর পরিবারে দুশ্চিন্তা।
সরেজমিনে গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নের বাগরাখাল হাওর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাগারখাল বিলের পানি শুকিয়ে মাঠের পর মাঠ বোরো জমি ফেটে চৌচির। ফলে বোরো চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় বীরমঙ্গল হাওর, জামকান্দি, মাটিকাপা, সেওলারটুক,বেড়িবিল হাওর, নয়াবস্তি ও টেকনাগুল গ্রামের কৃষি নির্ভর শতাধিক পরিবার।
এসময় টেকনাগুল গ্রামের আব্দুস সালাম, সেলিম মিয়া,মাটিকাপা গ্রামের আলী আমজাদ, বীরমঙ্গল হাওরের মজমিল আলী, জামকান্দি গ্রামের শাহ আলম , আব্দুর রহিম,নিজধর গ্রামের জামাল উদ্দিন, আব্দুল হাসিম.আমিন উদ্দিন.শামীম.আব্দুল মুতলিবসহ আরো ১০/১৫ জন কৃষক জানান ধান রোপণের আগেভাগে বিলের ইজারাদার পানি শুকিয়ে মাছ মারায় বিলে পানি সংকট তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ফিসারি নীতিমালা মানছে না ৪৮/৫২ বাগরাখাল গ্রুপ ফিসারির ইজারাদার। বোরো চাষাবাদের আগেই বিল ফিসং করায় বিল শুকিয়ে চৌচির। ফলে এ এলাকায় চাষাবাদ অনিশ্চিত।
তিনি আরও জানান- এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ৪৮/৫২ বাগরাখাল গ্রুপ ফিসারির ইজারাদার ও ভাই ভাই মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি গোপাল নমঃ বলেন, পিয়াইন নদীর পাড়ে বাগারখাল বিলের অবস্থান। বর্ষা মৌসুমে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী গভীর রাতে বিলের বাঁধ কেটে দেয়। ফলে বিলের পানির সাথে সকল মাছ নদীতে চলে গেছে। এ বিলের কয়েকটি গর্ত থেকে অল্প মাছ আমরা আহরণ করেছি। যা থেকে শ্রমিকের শতভাগ বেতন দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা।
অপরদিকে বাঁধ কেটে দেওয়ায় বিলটি সম্পূর্ণ ভরাট হয়ে গেছে। এ বছর বিলটি শুকিয়ে যাওয়ায় জলমহালের উন্নয়ন কাজে (মাটি খনন) আইনগত সহযোগিতা করার জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাবরে আবেদন করা হয়েছে।
সম্পাদক : আবু সালেহ মোঃ ইউসুফ
প্রকাশক : কামরান আহমদ
উপদেষ্টা : সালেহ আহমদ
ফিডম সিলেট - @ কপিরাইট | ২০২৫