সিলেটের
গোয়াইনঘাট জাফলংয়ে প্রতিবেশ-সংকটাপন্ন (ইসিএ) এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি (অতিরিক্ত সচিব)।
তিনি বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টায় বিভাগীয় ও জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে জাফলংয়ের প্রতিবেশ-সংকটাপন্ন (ইসিএ) এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে গোয়াইনঘাট উপজেলা ও স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সনাতন পদ্ধতিতে জাফলং কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলনের দাবি জানান বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ২০২২ সালে গোয়াইনঘাট উপজেলায় স্মরণ কালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি, বন্যায় বিধস্ত ৩১২ কিলোমিটার সড়ক ও আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাট উপজেলাবাসীর সার্বিক ক্ষতির বিষয়টি উপস্থাপন করেন গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম এ মতিন। জাফলং জিরো পয়েন্ট ও বিছনাকান্দি জিরো পয়েন্টে পাথরের স্তুপ থাকায় নদীর উৎস মুখ বন্ধ হয়ে গোয়াইনঘাটে প্রতিবছর উপর্যুপরি ১০/১২ বন্যা হয় বলে জানান সাংবাদিক এম এ মতিন। গোয়াইনঘাট উপজেলাবাসীকে আকস্মিক বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে জাফলং ও বিছনাকান্দি জিরো পয়েন্টে নদীর উৎস দ্রুত খননের দাবি জানান এম এ মতিন।
পরিদর্শনকারী দল ও স্থানীয়দের দাবির বিষয়ে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, বন্যার কবল থেকে এ এলাকাকে রক্ষা করতে হলে জাফলং জিরো পয়েন্টে একটি ক্যানেল করা যেতে পারে। এছাড়া নদীর উৎস মুখ থেকে কিভাবে পাথর সরানো যায় সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলা হবে। এসময় সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব),হোসাইন মো: আল- জুনায়েদ,গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মো: তৌহিদুল ইসলাম, গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি), মো: সাইদুল ইসলাম, সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় পরিবেশ মোঃ ফেরদৌস আনোয়ার, পরিবেশ অধিদপ্তর, সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় মো: বদরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক, গোয়াইনঘাট থানার, ওসি (তদন্ত), মোঃ সুজন মিয়া।
সম্পাদক : আবু সালেহ মোঃ ইউসুফ
প্রকাশক : কামরান আহমদ
উপদেষ্টা : সালেহ আহমদ
ফিডম সিলেট - @ কপিরাইট | ২০২৫