শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘অভিন্ন নদীর পানি ও ভারত প্রশ্ন: সমাধানের রাজনীতি কী?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, একটি নির্দিষ্ট দলকে ক্ষমতায় রেখে ভারত নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়–এমন একটা নেরেটিভ চিন্তা আছে ভারতের, সেটা থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, পরস্পরের প্রতি সম্মান রাখা, স্বার্থের প্রতি সম্মান এবং যে কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা–এমন মনোভাব থাকলেই দুদেশের (বাংলাদেশ-ভারত) সম্পর্ক ঠিক থাকবে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার নিজস্ব আঞ্চলিক সম্পর্ক তৈরি করে করে এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা জিল্লুর রহমান বলেন, ভারতের চাহিদার বিষয়টা না; বরং বাংলাদেশের চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে হবে। বৃহৎ প্রতিবেশী বলে তাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়ার কোনো মানে হয় না। অবশ্যই সুসম্পর্ক থাকবে সব প্রতিবেশীর সঙ্গে। অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবকে ধারণ করলেও তারাও আটকে আছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়।
সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, ‘সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কোন দিকে ইশারা করে? আমাদের শাসকগোষ্ঠী তাদের সামনে মাথা নত করে বলেই এ অবস্থা। কই পাকিস্তান কিংবা চীন সীমান্তে তো এমন করছে না। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ সংগঠন থাকা খুবই জরুরি।
রিভারইন পিপল-এর মহাসচিব শেখ রোকন বলেন, ‘নদী নিয়ে চুক্তির ঘোল খাইয়ে আমাদের বারবার ব্যবহার করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সমস্যা সমাধান ইহকালে সম্ভব নয়।
রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বলেন, পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে ভারত। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে পানির নেটওয়ার্ক এবং আইন অনুযায়ী অধিকার দাবি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, ‘আমাদের বিদেশনীতিতে, বিশেষ করে ভারতনীতিতে সংস্কার দরকার। কোনো ন্যায্যতাই আমরা পাইনি, এর দায় আমাদের শাসকগোষ্ঠীর। সার্কের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।