রেজাউল করিম সুবেদ :
মহানগরীতে মশার উপদ্রব বেড়েছে। মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন মানুষ। দিনের বেলাও মশারি টানিয়ে, কয়েল জ্বালিয়ে বা অ্যারোসল স্প্রে করেও মশা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না অনেকেই। এতকিছুর পরও মশক নিধনে নজর নেই সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক)। কর্তৃপক্ষ বলছে- মশা নিধনের প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদ নেই তাদের কাছে।
মহানগরীর টিলাগড়, শিবগঞ্জ, আম্বরখানা, সুবিদবাজার ও লামাবাজার এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত ১৫-২০ দিন থেকে চরমভাবে মশার উপদ্রব বেড়েছে। চলতি বছর ডেঙ্গুর মহামারি ও রাজধানীতে মৃত্যুর সংখ্যা দেখে আতঙ্কিত তারা।
শিবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দিন-রাত সমান ভাবে মশা কামড়াচ্ছে। কয়েল জ্বালিয়ে বা অ্যারোসল স্প্রে করেও রেহাই পাচ্ছি না। এখন তো বাধ্য হয়ে দিনের বেলাও মশারি টানানোর কথা ভাবছি।’
জালালাবাদ এলাকার বাসিন্দা বাদশা গাজি জানান, আমাদের এলাকাসহ মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার মোড়ে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে। অল্প বৃষ্টিতে এসব জায়গা থেকে মশা জন্ম নিচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের উচিত নিয়মিত ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা। যাতে কোথাও পানি জমে না থাকে। কিন্তু তাদের চরম মাত্রায় অবহেলা লক্ষ করছি।
সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকে মহানগরীর ৪২টি ওয়ার্ডে অর্থ ও জনবলের সঙ্কট থাকায় মশকনিধন কার্যক্রম কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে পারছে না সিটি কর্পোরেশন। মার্চ থেকে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে মশকনিধন কার্যক্রম। তবে অল্প কিছু এলাকায় এডিসের লার্ভা খুঁজতে গিয়ে মশার ওষুধ ছিঁটানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় জনবল ও মশার ওষুধের চাহিদাপত্র চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে সিটি কর্পোরেশন।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম সিলেটভিউকে বলেন, 'প্রায় এক বছর থেকে নানা সঙ্কটের কারণে মশকনিধন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে পরিষদে আলোচনা করেছি। চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে সিসিক কার্যক্রম শুরু করবে।'
সম্পাদক : আবু সালেহ মোঃ ইউসুফ
প্রকাশক : কামরান আহমদ
উপদেষ্টা : সালেহ আহমদ
ফিডম সিলেট - @ কপিরাইট | ২০২৫