যুক্তরাষ্ট্রের যে ছয়টি রাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে, সেগুলোর তিনটি হল জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং পেনসিলভানিয়া।
এই তিনটি রাজ্যেই এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অন্যদিকে, মিশিগানে কমালা হ্যারিসের পাল্লা ভারী। যদিও সেখানে এখন পর্যন্ত ১৯ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে।
এছাড়া, অ্যারিজোনা এবং উইসকনসিনেও এগিয়ে আছেন মিজ হ্যারিস।
এর আগে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে নর্থ ক্যারোলাইনায় জিতেছিলেন ট্রাম্প।
এছাড়া, ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জিতেছিলেন বাকি রাজ্যগুলো।
যদিও মি. বাইডেন খুব কম ব্যবধানে জিততে পেরেছিলেন সেবার।
এবারের নির্বাচনে এই রাজ্যগুলোতে সম্ভাব্য বিজয়ী কে?
এই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।
সেখানকার পরিস্থিতি প্রতি মিনিটে পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই এখনই কোনোকিছু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের মাঝে ৪০টিরও বেশ রাজ্যে ভোটগ্রহণ শেষ।
আগামী এক ঘণ্টার মাঝে আভাস পাওয়া যাবে যে কোন রাজ্যে কে জিততে চলেছেন।
তবে, কিছু রাজ্য আছে, যেগুলোর ফলাফল আসতে কিছুটা বেশি সময় লাগবে।
বিশেষ করে, নেভাদাতে ভোটের ফল আসতে কয়েক দিন লাগতে পারে।
কারণ, এই রাজ্যে মূলত মেইলে ভোট দেওয়া হয় এবং সেখানকার ভোট গণনা শনিবার পর্যন্ত চলবে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় আজ রাত ১০টায় আরও তিনটি রাজ্যে ভোট শেষ হবে, যার মধ্যে শেষ গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য হল নেভাদা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের পূর্বাভাসে বিশ্ব শেয়ারবাজারে উত্থান দেখা গেছে।বুধবার সকালে জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার বেঞ্চমার্ক শেয়ার সূচকগুলো ঊর্ধ্বমুখী ছিল।
অন্যদিকে, বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলের দিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখায় প্রধান মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মানও বৃদ্ধি পেয়েছে।এই নির্বাচনের ফলাফল বিশ্ব অর্থনীতির ওপর, বিশেষ করে এশিয়ায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এশিয়ায় দিনের পুঁজিবাজারে লেনদেন চলার সময়কালের মধ্যে নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে কিনা তা অনিশ্চিত।কেননা সুইং স্টেটগুলোর ভোট গণনা শেষ হতে সময় লাগতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে লিঙ্গভিত্তিক সমর্থন নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, নারীরা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কমালা হ্যারিসকে ৫৪ শতাংশ সমর্থন দিচ্ছেন এবং রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প নারীদের ভোট পাচ্ছেন ৪৪ শতাংশ।
এ থেকে দেখা যাচ্ছে যে নারী ভোটের দিক থেকে মিজ হ্যারিস এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান খুব বড় নয়। তবে এর আগে ২০২০ সালের নির্বাচনে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ৫৭ শতাংশ নারী ভোট দিয়েছিলেন।
জাতীয় এক্সিট পোলের তথ্য প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে, তবে এটি চূড়ান্ত নয়। সুইং স্টেটগুলোতে কী ঘটছে, তা এখনও প্রকাশিত হয়নি।
এর বাইরে জাতিগত ভিত্তিতে শ্বেতাঙ্গদের ভোটে ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে, আর কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের মধ্যে মিজ হ্যারিস এগিয়ে। মিজ হ্যারিস হিস্পানিক ভোটারদের মধ্যেও এগিয়ে আছেন।
সেইসাথে, কলেজ পড়ুয়া ও তরুণ ভোটারদের দিক থেকেও মিজ হ্যারিসের পাল্লা ভারী।
সম্পাদক : আবু সালেহ মোঃ ইউসুফ
প্রকাশক : কামরান আহমদ
উপদেষ্টা : সালেহ আহমদ
ফিডম সিলেট - @ কপিরাইট | ২০২৫